যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক শক্তি এবং কৌশলের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া অতীতে হিটলার ও নেপোলিয়নকে পরাজিত করেছে এবং দেশটির সামরিক অবকাঠামো অত্যন্ত শক্তিশালী। ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, পুতিন যুদ্ধ বন্ধ করতে চান এবং শিগগিরই তার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্যে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি রয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এ বৈঠক খুব শিগগিরই হতে পারে, যদিও এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
তবে, ট্রাম্পের রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা নিয়ে ইউরোপের উদ্বেগ রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের আশঙ্কা, ট্রাম্প হয়তো ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করতে পারেন, যার ফলে ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে, রাশিয়া ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং 'নিরপেক্ষ' রাখার দাবিতে বারবার চাপ দিয়েছে, আর ইউক্রেনের ২০% ভূখণ্ড বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতারা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করবেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত আছেন, একইভাবে ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারাও প্যারিসে জরুরি বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মোড় তৈরি করতে পারে, তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এই বৈঠকগুলো কি ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আসবে, নাকি আরও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করবে?